ঝুঁকিতে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ

মনিরা আক্তার মনি :

মতলব উত্তরে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প নির্মাণের প্রায় ৩৩ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত বড় ধরনের সংস্কার কাজ হয়নি। এ প্রকল্পটি তৎকালীন সরকার খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির প্রকল্প হিসেবেই নির্মাণ করেছিল। বর্তমানে এ প্রকল্পের ভেতরে প্রায় ৫ লাখ মানুষের বসবাস। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বর্তমানে বাইরে বন্যার পানি বৃদ্ধিতে যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

জানা যায়, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৩ কিলোমিটার। এ বাঁধটি জনসাধারণের যেমন যাতায়াতে তেমনি বসবাসযোগ্য এলাকার জন্য বড় ধরনের সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। সম্প্রতি পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সচিব এই বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করে গেছেন। পরে তারা নদী ভাঙন এলাকা ঘুরে ভাঙন রোধে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। ওই বরাদ্দ দিয়ে ভাঙন এলাকায় কাজ চলছে।

সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কিছু কিছু জায়গায় বেড়িবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। বাঁধের ভেতর ও বাইরের অংশে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই গর্তগুলো দ্রুত বন্ধ করা প্রয়োজন। না হলে চলতি বন্যা মৌসুমে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবহারকারী ফেডারেশনের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার ও ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. আলাউদ্দিন বাঁধের টরকী লঞ্চঘাট, চরমাছুুয়া, আমিরাবাদ লঞ্চঘাট, জহিরাবাদ, মোহনপুর, দশানী ও সটাকিসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

পরিদর্শনকালে এমএ কুদ্দুস বলেন, বন্যা চলছে। বন্যা শুরু হওয়ায় বেড়িবাঁধের কোল ঘেঁষে যেসব গর্ত সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো দ্রুত গতিতে সংস্কার করা জরুরি। আমি স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট নূরুল আমিন রুহুলের সহযোগিতায় সরকারের কাছে আবেদন করবো যাতে দ্রুত এই বাঁধটি সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়।

Loading

শেয়ার করুন: