চাঁদপুরের মেধাবী ছাত্র আব্দুর রহমানের বিচার চায় পরিবার

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

চাঁদপুরের কৃতি সন্তান শহীদ আব্দুর রহমান(২৩)। গত ৫আগস্ট হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় সে।

জানা যায়, চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার মধ্য পিংড়া, গাজী বাড়ির আব্দুল মালেক গাজীর ছেলে সে। শহীদ আব্দুর রহমানের(পারভেজ )জন্ম হয়েছিল ২৩অক্টোবর ২০০১সালে।

তাঁর পিতা মালেক গাজী সাংবাদিকদের জানান, শহীদ আব্দুর রহমান পিংড়া হযরত শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও চাঁদপুর বাবুর হাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্যাবসা শাখা ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নারায়ণগঞ্জ তোলারাম কলেজে ভর্তি হয়। নারায়ণগঞ্জ তোলারাম কলেজের বিবিএ ২০২২-২০২৩ সেশনে ২য় বর্ষের ছাত্র ছিল সে।

সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন সেও। দেশটাকে স্বাধীন করার দায়িত্ব অন্যান্যদের মতো সেও কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন।

কিন্তু ৫আগস্টের গণআন্দোলনে যোগ দিয়ে পুলিশের গুলিতে ঘাতক বুলেট তার বক্ষ বিদীর্ণ করে দেয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দুপুর ১টায় সে শাহাদাৎ বরন করেন।

দেশ ও জাতির জন্য তার এই আত্মত্যাগ আমাদের হৃদয়ে সর্বদাই অম্লান হয়ে থাকবে চিরদিন। এই শহীদ আব্দুর রহমানের (পারভেজ) নামে বাবুরহাট চত্বরে তিন রাস্তার মোড়ে তার নাম ফলকও ছাত্র-ছাত্রীরা উত্থাপন করেছেন।

শহীদ আব্দুর রহমানের পিতা মালেক গাজী একজন প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তিনি তার ছেলের বিচার চেয়ে ভিডিও বার্তায় সাংবাদিকদের বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে আছি। আজকে এতো দূর প্রবাসে আছি এই সবকিছু আমার সন্তানের জন্য। বিনিময়ে কিছু না পেলেও আমি আমার কলিজার টুকরা কে হারালাম। আমি আমার সন্তানের হত্যার সঠিক বিচার চাই। যারা আমার সন্তানকে গুলি করে হত্যা করেছে, আমি তাদের বিচার দাবি জানাচ্ছি।

একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধার ৩০বছরের এই পুরস্কার যেন কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। শহীদ আব্দুর রহমানের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের শোকার্ত পরিবারকে শান্তনা দিতেও দেখা যায়নি চাঁদপুরের কোনো দল বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। শহীদ আব্দুর রহমানের পিতা মালেক গাজী (রেমিট্যান্স যোদ্ধা) তার সন্তানের হত্যার বিচার দাবি জানিয়েছেন দেশবাসীর নিকট। বিচার চায় তার পরিবার।

Loading

শেয়ার করুন: