চাঁদপুরে করোনারোধ কল্পে জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা

করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও চলমান সাধারণ ছুটি শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ রোববার থেকে খুলছে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস। একই সঙ্গে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ ও ট্রেন বা গণপরিবহনও চালু হচ্ছে। খোলা থাকবে মার্কেট, দোকানপাট ও হোটেল রেস্তোরাঁ। তবে গণপরিবহন, দোকানপাট হোটেল রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য কর্মকান্ড কীভাবে পরিচালিত হবে এবং কোন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে সেই বিষয়ে নির্দেশনা জানাতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা করা হয়েছে।
৩০ মে বিকাল সাড়ে ৫ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চাঁদপুর জেলা বাস,লঞ্চ,দোকান,মার্কেট ও হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সাথে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান সভাপ্রধানের বক্তব্যে বলেন,৩ মাস সরকার চেষ্টা করেছে।এখন শারিরীক নিরাপত্তা ও জীবন বাঁচানোর জন্য এখন নিজের দায়িত্ব নিতে হবে।নতুবা জীবন সংকটাপন্ন হবে।এত লোক আক্রান্ত এবং মারা যাবার পরও আমরা মানুষ যদি সচেতন না হই,বিপদ ঠেকানো যাবে না।স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বাস লঞ্চ ও ট্রেন বা গণপরিবহন চলবে,খোলা থাকবে দোকানপাট। শর্ত ভঙ্গ হলেই নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জামাল হোসেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক এসএম জাকারিয়া,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জাহিদ পারভেজ চৌধুরী, জেলা মার্কেটিং অফিসার এনএম রেজাউল করিম, বিআইডব্লিউটিএর চাঁদপুর নৌ পরিবহন কর্মকর্তা আঃ রাজ্জাক,চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারি ও সাবেক সাধারন সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মিলন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তাক হায়দার চৌধুরী, চাঁদপুর জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিজি, রফ রফ লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি মুন্না খান, নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা বিপ্লব সরকার, রেলওয়ে হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু সাধারণ সম্পাদক জাকির মৃধা, চাঁদপুর হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ আখন্দ, দপ্তর সম্পাদক মজিবুর রহমান মাইনু প্রমুখ।

সকলের মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, জরুরী সেবা ব্যতিত চাঁদপুরের সকল দোকানপাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে, হোটেল – রেস্তোরাঁ সকাল ৬টা থেকে সন্ধার ৬টা পর্যন্ত খোলা। তবে লঞ্চঘাট, বাস স্টেশন, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে জেলা প্রশাসনের অনুমোদিত হোটেলগুলো সকাল ছয়টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এ ক্ষেত্রে হোটেলগুলোতে ক্রেতাদের পার্সেলে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। দূরত্ব রেখে টেবিল দিতে হবে।

এছাড়া লঞ্চঘাট, বাসস্টেশনে ব্যক্তিগত সুরক্ষা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং শারিরীক নিরাপত্তা বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে। লঞ্চে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি, তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র রাখতে হবে।বাসে জীবানুনাশক স্প্রে বাধ্যতামূলক।অটো-রিক্সা গুলোতে চালকের পাশে যাত্রী নিতে পারবে না।

মোট কথা, শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্টসংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত বিধিনিষেধ নিশ্চিত করে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল করতে পারবে। তবে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

Loading

শেয়ার করুন: