চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সিলিং ফ্যানসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরির ঘটনায় ইউছুফ কামলা ও আকাশ মিয়া নামের ২ চোরকে গত মঙ্গলবার কমিউনিটি পুলিশিং টহল সদস্যরা আটক করে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আটক চোরদের তথ্য অনুযায়ী ঐদিনই পুলিশ ৮টি সিলিং ফ্যান ও বেশ কিছু মূল্যবান বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
তাছাড়া আটক চোরচক্র তাদের চুরি করা মালামাল বকুলতলা রেললাইনের পাশে মোল্লার ভাড়াটিয়া ভাঙ্গারী দোকানি কানু দেবের কাছে বিক্রি করে বলে তথ্য দেয় মডেল থানা পুলিশকে। এছাড়াও তাদের সংঘবদ্ধ দলের আরো সদস্যদের নাম ও তথ্য দেয় আটককৃত চোরেরা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ নভেম্বর রোববার পুরাণবাজার থেকে এ চুরির ঘটনায় জড়িত এক চোরকে আটক করে। ঐ আটককৃত চোরকে আটকের পর মডেল থানা পুলিশকে জানায়, সেও চুরিকৃত মালামাল বকুলতলা এলাকার ভাঙ্গারী দোকানি কানু দেবের কাছে বিক্রি করেছে। এই স্বীকারোক্তির পরই মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বাহার মিয়ার নির্দেশে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নুরুল আলম সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে ৩ নভেম্বর দুপুরে বকুলতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উক্ত চুরিকৃত মালামাল ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পায় এবং কানু দেবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া মডেল থানার এস আই নুরুল আলম জানান, ৫নং ঘাটের আবুল মিজির বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ আলীর ছেলে ইউছুফ কামাল (২৭) ও আলমগীরের ছেলে আকাশ মিয়া(১৮) কে এর পূর্বে আটক করার পর ভাঙ্গারী দোকানি কালু দেবের কাছে চোরাই মালামাল বিক্রির তথ্য পান।
শুধু তাই নয়, পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে, অনেক চুরিকৃত মালামাল অত্যন্ত সুকৌশলে উক্ত ভাঙ্গারী দোকানে খুব স্বল্প দামে কানু দেব ক্রয় করে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার আফিসার ইনচার্জ মো. বাহার মিয়া জানান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় ভাঙ্গারী দোকানি কানু দেবকে আটক দেখানো হবে। দুটি মামলায় ভাঙ্গারী দোকানি কানু দেবকে আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।