
আরেফিন সুমন, সাইম পাটওয়ারী:
চাঁদপুর আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ -২০২৫। ১৯ ফেব্রুয়ারি রোজ (বুধবার) সকাল ১০ টার সময় মটখোলায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ২০২৫ এর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী কুমিল্লা রেঞ্জ পরিচালক ও পিএএমএস,পিভিএমএস মোঃমাহবুবুর রহমান তিনি বলেন,এই জেলা সমাবেশ কয়েক ধরনের ইউনিফরম পড়ে বসে আছেন। এটি আমরা যারা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা কর্মচারী ও সদস্য না। তাদের জন্য এক ধরনের সন্দেহ সৃষ্টি করে। মিসগায়েট সম্ভাবনায় দাঁড়ায়। একি এরা কারা কেমন ধরনের আনসার ভিডিপি নামতো একটাই। এমন হল কেন। আনসার প্রোগ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধানত প্রোগ্রাম একটাই তিনটি উপাদান তিনটি উইন নিয়ে গঠিত। তারা একটা হল ব্যাটেলিয়ান সদস্য আমার মতো কমবেট পড়ে থাকে। তারা স্থায়ী তাদের জন্য সাময়িক প্রশিক্ষণ আছে। ছয় মাসের যে প্রশিক্ষণ অস্ত্রসহ যে সাময়িক প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগ প্রদান করা হয়। স্থায়ীভাবে প্রধানত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি , পুলিশ,কোস্টা গার্ড নিয়োজিত অন্যান্য বাহিনীর সাথে কাঁদে কাদ মিলিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিধানে তারা কাজ করে থাকে। অধিকাংশ আনসার ব্যাটালিয়ন পারবো তো এলাকায় আছে। জেলায় গুলোতে তুলনামূলক কম। আরেকটি হচ্ছে সাধারন আনসার, সাধারণ অঙ্গীহত আনসার হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন কন্যার থেকে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণতা দেওয়া হয়। ১০ সপ্তাহের প্রশিক্ষণের পরে যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় সেই সার্টিফিকেট বলে তাকে সাধারণ আনসার বলে। এই সাধারণ আনসারের সংখ্যা বাংলাদেশের প্রায় ৩ লক্ষের বেশি।এদের মধ্য থেকে অঙ্গীহত আনসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। সাধারণত মানুষ যেটা দেখে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিমানবন্দর অর্থাৎ জল্পে কালারের রং পোশাক পড়ে দায়িত্ব পালন করে।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা, ট্রাফিক পুলিশ থেকে শুরু করে সবগুলো। এরা হলো সাধারণ আনসারের একটি পাঠ যারা চাকরিজীবী অঙ্গীহত আনসার বলা হয় । ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি করতে পারবে। এদের মূল কাজ হল পাহারা দেওয়া।
মাহবুবুর রহমান বলেন , বাংলাদেশে ৫,৭০০ এর উপরে প্রতিষ্ঠান আছে যেমন বিমানবন্দর,সকল বড় বড় হাসপাতালে, বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো , সকল মেডিকেল কলেজ গুলো, এবং বড় বড় শিল্প কারখানাগুলো সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পাহারাদারে কাজ করে তারা হলো অঙ্গীহত আনসার। এবং এর সংখ্যা বর্তমান বাংলাদেশ ৫৯,০০০ প্লাস। ৩ লক্ষের মধ্যে ৫৯০০০ জন চাকরি করে। এই সংখ্যা ধীরে ধীরে চাহিদা আরো বাড়ছে। আমরা আশা করছি আগামী এক বছরে মধ্যে এটা ৭০ হাজার মধ্যে পৌঁছাবে। উদ্দেশ্য হল পাহারাদারের মাধ্যমে নিরাপত্তা যেন বিঘনিহীন না হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করা। আমরা কল্পনা করতে পারি ৫ হাজার ৭০০ টি প্রতিষ্ঠানের যদি আনসার বাহিনী পাহারা না থাকতো তাহলে প্রতিদিন ১০ ভাগের ১ ভাগও সেখানে মারামারি ও চুরি ছিনতাই করত তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াতো। বাংলাদেশ একটি ও নিরাপদ পরিণত হতো। আল্লাহর রহমতে সেখান থেকে আমরা খুব ভালো আছি। আরেকটা হল বিজিবি মেরুন কালারের পোশাক পড়ে যারা থাকে তারা হলো ভিডিপি বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে ৩২ জন পুরুষ ৩২ জন মহিলা নিয়ে একটি ডাটাবেজ করা আছে। আগে তালিকাভুক্ত ছিল এখন ডাটাবেজে আছে। এদের প্রত্যেকেরই এনআইডি কার্ড মোবাইল নাম্বার সহ সমস্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকে এরা হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী। সার্বক্ষণিক এরা কোন কাজে থাকে না এরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ প্রফেশনালে থাকে কেউ লেখাপড়া করে, কেউ ব্যবসা করে কেউ চাকরি করে। যখন দুর্যোগ ঘটে, যখন ইলেকশন হয়। বা জাতীয় পর্যায়ে বড় কোন ধরনের প্রয়োজন দেখায় তখন এই ভিডিপি সদস্যকে অল্প সময়ের জন্য ২.৫.১০ দিনের জন্য নিয়োগ করা হয়। ওই কয়েক দিনের জন্য তাদেরকে ভাতা দেওয়া হয়। এটা হল ভিডিপি কাজ এটা সরকারের সাশ্রয় বড় একটি বড় একটি পোছ প্রয়োজনে কাজে লাগানো হয়। এই তিনটি কম্বন নিয়ে বাংলাদেশ আনসার গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
তিনি বলেন,আমরা প্রতিবছরে এইভাবে জেলায় সমাবেশ করি উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন পর্যায় থেকে অতিথি বিন্দু আমন্ত্রণ করি উনাদের সাথে আমাদের সহানুভূতি থাকার দরকার।
মাহবুবুর রহমান বলেন , জুলাই- আগস্ট অভ্যুত্থান এটি যেই আকাঙ্খা দিয়ে জীবন দিয়েছে। আনসার বিটিভি অবশ্যই ও আমাদের আকাঙ্খা ধারণ করতে হবে। তারা নতুন বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখেছিল। যারা যে ছাত্ররা নেতৃত্ব দিয়ে পরবর্তীতে সকল একত্রিত করে ছিল। তাদের কয়েকটা আকাঙ্খা ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ তৈরি করা। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ করার।
আপনারা ইতিমধ্যে শুনেছেন আনসার বাহিনী জনো নিরাপত্তার পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা। মাদকের বিস্তার বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যায়নি, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, চলছে কিশোর গ্যাং বেরে যাচ্ছে কমছে না। নতুন আরেকটি শুরু হচ্ছে অনলাইন জুয়া। এইসব তথ্য প্রশাসনের কাছে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আসেনা। আপনারা হচ্ছেন সেই মানুষ আপনারা প্রতিটা গ্রামে আছেন প্রতিটা ইউনিয়ন আছেন। জানা আছে কারা কিশোর গ্যাং সাথে জড়িত আছে,কোথায় বাল্য বিবাহ হয়,মাদক ব্যবসা হচ্ছে তা আপনারা জানেন। সেই সব তথ্য গুলো আপনারা যদি প্রশাসনে কাছে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।
তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাইতে হলে প্রথমত নিজেদেরকে দুর্নীতি মুক্ত হতে হবে দুর্নীতিমুক্ত শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তারা হলে হবে না বাকিরা ও দুর্নীতিমুক্ত হবে না। এটা হতে পারে না। আপনারা নিজেদের জায়গায় দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। আপনারা কাউকে ঘুষ দিবেন না।
আনসার বাহিনী আপনাদের বিনা মূলে প্রশিক্ষণ দেয়। প্রায় ৩২ রকম প্রশিক্ষণ ড্রাইভিং ট্রেনিং, লাইসেন্স সহ দেওয়া হয় একটি টাকাও খরচ করা হয় না । মেয়েদের জন্য সেলাই মেশিন, মোবাইল সার্ভিসিং প্রশিক্ষণ, রাজমিস্ত্রি প্রশিক্ষণ, টাইলস মিস্ত্রি প্রশিক্ষণ, সম্পূর্ণ বিনামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় আনসার বাহিনী।
অনুষ্ঠানের সভাপতি করেন ও সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মহসিন উদ্দিন,পুলিশ সুপার পিপিএম মোহাম্মদ আব্দুল রফিক,সেনাবাহিনীর উপ-পরিচালক অধিনায়ক মেজর আশিকুর রহমান আশিক,এন এস আই যুগ্নপরিচালক আবু আব্দুল্লাহ
সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী চাঁদপুর জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ শাহজালাল ছোয়াদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী সরকার উপ-পরিচালক মোঃ গোলাম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত জামিল সৈকত, জেলা নির্বাচনী অফিসার জিয়াউর রহমান খলিফা,পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহরুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকতা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।