নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, এবার ব্যালট পেপার নিবার্চনের দিন সকালে কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে, প্রয়োজনে সেনাবাহিনী-বিজিবির সহায়তা নেওয়া হবে। তবে যৌক্তিক কারণ থাকলে কিছু দুর্গম এলাকায় আগের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে চাঁদপুরে নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিছুর রহমান বলেন, যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন তারা কিন্তু কম শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেই। তাদের সমর্থক আছে সেটা বিবেচনা করেই মাঠে নেমেছেন। তারা মাঠে থাকবেন। আজকের আলোচনায় তাদের প্রত্যেকের অভিযোগের কথাও শুনেছি। তাদেরকে বলেছি- আপনারা মাঠে থাকেন, শেষ সময় পর্যন্ত মাঠে থাকতে হবে। কর্মী-সমর্থকদের মাঠে রেখে চলে গেলে সেটা কাপুরুষের মতো কাজ হবে। ভোটের দিন আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়, প্রার্থীরা বলেন- আমার এজেন্ট বের করে দিয়েছে। মূলত তিনি এজেন্টই দেননি। যে কারণে আজকে প্রার্থীদের বলেছি- ভোটের দিন একটি নির্ধারিত ফরম দেবেন। ভোট শুরু হওয়ার আধাঘণ্টা আগে যেন তাদের এজেন্টদের নাম দেন এবং তারা যেন উপস্থিত থাকেন। ভোট শেষ হওয়ার পরে গণনা পর্যন্ত এজেন্ট থাকতে হবে এবং ফলাফলে স্বাক্ষর দেবে। তার প্রার্থীর ফলাফল যাই হোক না কেন উপস্থিত থাকতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। আমরা অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি এবং সতত্যা পেলে সেগুলো মামলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশতো বাদী হয়ে মামলা নিবেনা। কারণ পুলিশত সরকার পক্ষের লোক। যিনি অভিযোগকারী তাকেই প্রথমে থানায় অভিযোগ করতে হবে। অভিযোগ দেরি করে দিলে বিষয়টি দূর্বল হয়ে যায়। এই বিষয়টিও স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের দেখতে হবে।
তিনি বলেন, ভোটারদের ভোট দিতে উৎসাহ দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। ভোটের অধিকার আপনার। আপনি ভোট দিতে আসেন। আপনার ভোট আপনি দেবেন, অন্য কেউ আপনার ভোট দেবে না। ভোটের সুন্দর পরিবেশ বজায় থাকবে। আজকের অনুষ্ঠানে প্রার্থীদের বলেছি, ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব তাদের। কিন্তু সুস্থ্য সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণের দায়িত্ব আমাদের।
আনিছুর রহমান বলেন, প্রচার-প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন অনুযায়ী যতটুকু প্রচার-প্রচারণার সুযোগ দেওয়া আছে তা করতে দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীদেরও দায়িত্ব আছে। আচরণবিধিতে আছে কে কোথায় প্রচারণা করতে চায় তার ২৪ ঘণ্টা আগে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। কারণ একই স্থানে যদি দুইজনের নির্বাচনী প্রচারণার কার্যক্রম হয়, তাহলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। তাই আমরা প্রার্থীদের বিষয়টি অবহিত করেছি। আমাদের মিশন হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে চাই। এটা করার জন্য আমাদের যা যা প্রয়োজন আমরা তাই করব। যিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসবেন আমরা তাকে গ্রহণ করব।
মতবিনিময় সভায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেনসহ চাঁদপুরের পাঁচটি আসনের অধিকাংশ প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।