চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২৩ জুন শুক্ৰবার চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের সাথে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের চূরান্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২২ জুন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম শুরু করে আওয়ামী লীগ। ৭৪ বছর পরেও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণমানুষের শান্তি-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ধর্মনিরপেক্ষ-অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, শোষণমুক্ত সাম্যের সমাজ নির্মাণের আদর্শ এবং একটি উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক, প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দর্শনের ভিত্তি রচনা করে আওয়ামী লীগ।
তিনা আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু এ দেশের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠনই নয়, বাংলাদেশের রাজনীতির মূলধারাও। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। ১৯৪৮ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সূচিত ভাষা আন্দোলন ১৯৫২ সালে গণজাগরণে পরিণত হয়। অব্যাহত রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার তরুণ সংগ্রামী নেতা শেখ মুজিবুর রহমান সেই সময়ে কারান্তরালে থেকেও ভাষা আন্দোলনে প্রেরণাদাতার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু এ দেশের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠনই নয়, বাংলাদেশের রাজনীতির মূলধারাও। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ভাষা সংগ্রামের পথ ধরে ৬৬ সালে ৬ দফা, ৬৯-এর গণআন্দোলনসহ দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাঙালি জাতি। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সব আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ গঠনে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর থেকে দেশ বিরোধীদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংস্তুপ থেকে উঠে এসে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের সমাজ-রাজনীতির এ ধারাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে নিচ্ছে।  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ বাঙালি জাতির যা কিছু শ্রেষ্ঠ অর্জন, তার মূলে রয়েছে জনগণের এই প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব। জন্মলগ্ন থেকে এখনও পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস জনগণ এবং সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সন্তোষ দাস, আব্দুর রশিদ সর্দার, ইঞ্জি. আব্দুর রব ভুঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্ল্যাহ আখন্দ, অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শাহ আলম মিয়া, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিয়াজী, সদস্য অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরণ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারন সম্পাদক ওহিদুর ইসলাম, বিদ্যৎ শ্রমিকলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি আতাউর রহমান পাটওয়ারী, অ্যাড. আমির হোসেন মন্টু।

Loading

শেয়ার করুন: