
কচুয়া প্রতিনিধি ॥
চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফীসহ ৭ জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীর উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা ইউনিয়ন ও পৌর জামায়াতে ইসলাম এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৃথকভাবে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে উপজেলার ১০নং গোহট উত্তর ইউপির ৬ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে নাউলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান চলছিল। এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চাঁদপুর -১ (কচুয়া) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুহাদ্দিস আবু নছর আশরার্ফী’র বক্তব্য চলাকালীন স্থানীয় আওয়ামী দোসরের ১৪/১৫ জন মিছিল বের করে উসকানী মূলক স্লোগান দিতে থাকে এবং অনুষ্ঠানে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এতে জামায়াতের ৭ নেতা কর্মী আহত হয়েছে। এঘটনায় কচুয়ায় থানায় মামলা করা হয়েছে। এ মামলার এজহারে ৫জনের নাম উল্লেখ করে ২৫জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার সাচার আশ্রাফুর ও রহিমানগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াতে ইসলাম। বৃহস্পতিবার সকালে ১১ নম্বর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০,১১ ও ১২নং ইউপির বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন জামায়াতে ইসলাম ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
বিকেলে কচুয়া পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আমিনুল হক মিরের নেতৃত্বে এবং উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী দেলোয়ার হোসেন ও মনির হোসেন হেলালীর নেতৃত্বে সাচার বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন,আমাদের শান্তিপূণ অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ মাত্র একজনকে গ্রেফতার করেছে। আমরা সকল হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অভিলম্ভে গ্রেফতারের দাবী জানাই।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন,জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী দোসররা হামলা অভিযোগে মামলা হয়েছে। এজাহার নামীয় একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে জোড় চেষ্টা চলছে।