মনিরা আক্তার মনি:
কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার বলেছেন, তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রয়োজন হলে আরো কঠোর হবে নির্বাচন কমিশন। পেশিশক্তি ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রেও সচেতন থাকতে হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। কেন্দ্রে কেউ ভোট লুট করতে এলে পুলিশ বসে থাকবে না, প্রয়োজনে গুলি করতে বাধ্য হবে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ছেঙ্গারচর সরকারী ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গণে ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ভোটকে কেন্দ্র করে কোনও মায়ের বুক খালি হোক, তা নির্বাচন কমিশন চায় না। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছা থাকলে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হবে। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন করার লক্ষ্যে তারা একসঙ্গে কাজ করবে। সেই লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং অফিসারের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখতে হবে।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তোফায়েল হোসেন বলেন, নাগরিকের ভোট, ভোটের সরঞ্জাম রক্ষা ও সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তার জন্য বিধান রয়েছে। ভোট সংশ্লিষ্ট কোনও কর্মকর্তা স্বজনপ্রীতি দেখালে ছাড় দেওয়া হবে না। তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কাছ থেকে কোনও প্রকার খাবার খাওয়া যাবে না। প্রিসাইডিং ও রিটার্নিং অফিসারদের ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে প্রো-অ্যাক্টিভ হতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোট গণনা শেষ করতে হবে।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান।
সভাপতির বক্তব্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান বলেন, ভোটগ্রহণ শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোট গণনা করে কেন্দ্রে ঘোষণা দিয়ে উপজেলায় রিপোর্ট করতে হবে। বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হলেও অনেক কেন্দ্রে দেখা যায়, রাত ১০টায়ও গণনা শেষ হয় না। এসব কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসাররা বিপাকে পড়েন। পাশাপাশি নানা রকম গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভোটের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। তখন অযাচিত পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনকে বেগ পেতে হয়। তাই ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুত ভোট গণনা করে ঘোষণা দিতে হবে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রিপন হোসেন বলেন, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে অবাধে যেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রিসাইডিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একসঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করলে ২৮ তারিখের নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু।
উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।