শাহরাস্তি প্রতিনিধি:
চাঁদপুর লাকসাম-রেলপথের শাহরাস্তি হাজীগঞ্জে স্টেশন মাস্টারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই পথের স্টেশনগুলো পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) মোঃ সাদেকুর রহমান ২ স্টেশন মাস্টারকে বরখাস্তের এ আদেশ দেন । এ বিষয়টি বৃহস্পতিবার(২০আগষ্ট) স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশের মাধ্যমে জনসাধারণের দৃষ্টিতে এসে সমগ্র অঞ্চলে ভাইরাল হয়।এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, ডিআরএম কার্যালয়ের একান্ত প্রধান সহকারী কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট ) দিনব্যাপী চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের ব্রীজ, রেলপথ ও স্টেশন ভবন পরিদর্শনকালে স্টেশন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা না থাকা এবং বিভিন্ন অনিয়মের কারণে মেহের স্টেশন মাস্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম ও হাজীগঞ্জ স্টেশন মাস্টার মোঃ মারুফ হোসেনকে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়। ওই সময়ে পরে তারা বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের কাছে অপরাধ সম্পর্কে তাদের ব্যাখ্যার বিস্তারিত জানাতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) মোঃ সাদেকুর রহমান বলেন, রেলপথ পরিদর্শনকালে বিভিন্ন স্টেশনের মধ্যে মেহের ও হাজীগঞ্জ স্টেশনে পরিষ্কার পরিছন্নতা না থাকায় এবং বিভিন্ন ত্রুটির কারণে তাদের (২ স্টেশন মাস্টার)কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ বিষয়ে ঊর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে।
এদিকে শাহরাস্তি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিভিন্ন জন জানান, এ স্টেশন মাস্টারকে অতীতে বিভিন্ন অনিয়মের জন্য বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হয়। অজ্ঞাত কারণে তিনি আবার এই শাহরাস্তির মেহের স্টেশনে এসে চাকুরীর জন্য হাজির হন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে গাছ বিক্রি, ঠিকাদারদের সাথে জড়িয়ে নি¤œমানের কাজ, মেঘনা ইন্টারসিটি ট্রেনের টিকেট বিক্রি করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওই সমস্ত ঘটনার রেশ না কাটতেই আবার বরখাস্ত হলেন তিনি।এখন দেখার বিষয় ওই কর্মকর্তা আবার অজ্ঞাত কারনে আবার বহাল তবিয়তেই এ স্টেশনে বসে চাকুরী করেন কিনা?